শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
দেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত করেছে, এখন দেশ গড়ার পালা-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লালমনিরহাটের প্রবীণ সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটে অভ্যন্তরীণ আমন ধান ও চাল সংগ্রহ/২০২৪-২৫ শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র
জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি

জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি

আলোর মনি রিপোর্ট: ১৯৮০ সালের দিকে কয়েকজন বন্ধু মিলে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য তৈরি করে একটি শহীদ মিনার। সে সময় এখানে মানুষজন এই শহীদ মিনারে ২১শে ফেব্রুয়ারি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপনের পাশাপাশি করতো বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠান। আজ ধিরে ধিরে লোক সমাজের আড়াল করে রেখেছে সেই শহীদ মিনারটি।

 

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড়বাড়ি বাজারের কাঁচা বাজার (মহিলা মার্কেট) এর পিছনে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে একটি শহীদ মিনার। কেউ নেয়নি কোন ধরনের মেরামতের উদ্যোগ। যার ফলে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে শহীদ মিনারটি।

 

এটি অত্র এলাকার এক সময়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকলেও এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে সেটি। দীর্ঘ ৪২বছরেও শহীদ মিনারটির সংস্কারের নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

 

জানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে বড়বাড়ি ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামের নুরুজামান মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরুল্লাহ, বাংগোর, হবিসহ কিছু যুবক এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। সে সময় দূর থেকে অনেকে এসে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতো এই শহীদ মিনারে।

 

২০০১ সালের সালের পর থেকে এটি আর সংস্কার করা হয়নি। এভাবে ধীরে ধীরে বর্তমানে ধ্বংস প্রায় হয়ে গেছে এ শহীদ মিনারটি।

 

মহান ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন আহম্মদ বলেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের নেতাদের নাম জাহির করতে ব্যস্ত থাকার ফলে ও প্রশাসনের জ্বি হুজুর স্বভাব বাস্তবায়ন করার ফলে এ রকম কাজগুলোর ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।

 

এলাকাবাসী জানান, মহান শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আমরা ফুল দিতাম এই শহীদ মিনারে। বাজার কর্তৃপক্ষ আস্তে ধীরে শহীদ মিনারটিকে মানুষের চোখের আড়াল করতে শুরু করেন। এক সময় দু’একজন এর প্রতিবাদ করলেও এখন শহীদ মিনারটির বিষয়ে কেউ মুখ খুলে না। এখনও এই এলাকায় কোন শহীদ মিনার নেই। সরকার সুদৃষ্টি দিলে এর সঠিক সমাধান করা যাবে বলে এলাকাবাসী দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone